জমি আন্দোলনের আঁতুরঘর নন্দীগ্রামেও এবার বদল। বিধানসভার একাধিক পঞ্চায়েতে আধিপত্য ধরে রেখেছে গেরুয়া শিবির। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরীখে তেমন ভালো ফল করতে পারল না শাসক দল। তবে গণনার দিনেও ডায়মন্ড হারবার মডেল পুরোদমে সক্রিয় রয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে রয়েছে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন এবং ৭টি আসন রয়েছে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকে। সুতরাং নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মোট ১৭ আসনের মধ্যে দুপুর পর্যন্ত ৬টি আসনের দখল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু ২০১৮ সালের হিসেব অনুযায়ী, ১৭টি আসনই ছিল শাসক দলের দখলে।
শেষ পাওয়া হিসেব অনুযায়ী বয়াল ১, ২, খেদামবাড়ি ২, ভেকুটিয়া, হরিপুর এবং নন্দীগ্রামের দখল পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর নিজের বুথ নন্দীগ্রামের নন্দনায়কবার। সেখানেও ৭৭ নম্বর বুথে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রুম্পা দাস।
বিধানসভা নির্বাচনের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনেও নন্দীগ্রাম বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট ছিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাখির চোখ করেছিলেন ওই বিধানসভা আসনটি। অভিযোগ, পালটা অভিযোগের মধ্যে এখনও পর্যন্ত নন্দীগ্রামে বেশ চমকপ্রদ ফল বিজেপির।
শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার সকালে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, "গণনার দিনেও ডায়মন্ড হারবার মডেল পুরোপুরি কাজ করছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জনাদেশ চুরির চেষ্টা করছে। বিজেপি সহ বিরোধী দলের এজেন্টদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।"