তীব্র দাবদাহে কার্যত নরক-যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) পূর্বস্থলীর (Purbashtali) কাদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন (Electricity) ছিল গোটা গ্রাম। প্রায় এক পক্ষকালের প্রবল সমস্যার পর শেষমেশ সুরাহা। শুক্রবার দুপুরে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরল পাখা। জ্বলল আলো। স্বস্তির নি:শ্বাস ফেললেন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে দুর্দশা দূর হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানালেন সংবাদ মাধ্যমকে। তীব্র দাবদাহের মধ্যে বিদ্যুৎহীন ১৪টা রাত কাটাবার যন্ত্রণা এখন ভুলতে চাইছেন গ্রামবাসীরা।
শুক্রবার সকালেই কাদাপাড়া গ্রামের এই দুঃসহ যন্ত্রণার ছবি সামনে আনে সংবাদ মাধ্যম। আর তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, খবর সম্প্রচারের পরই তড়িঘড়ি গ্রামে পৌঁছন বিদ্যুত্ দফতরের কর্মীরা। খারাপ হয়ে যাওয়া ট্রান্সফর্মার পাল্টে চালু করেন বিদ্যুত্ সরবরাহ। যদিও বিদ্যুত্ আসতে এত দেরি কেন, প্রশ্ন তুলে বিদ্যুত্ দফতরের (Electricity Department) কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মীকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়নি বলেই খারাপ হয়ে যাওয়া ট্রান্সফর্মার সারিয়ে দেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
এই গ্রামে মোট ১৭০-১৮০টি পরিবারের বাস। বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়ছেন রোগীরা। অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে শিশুরাও। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় দুপুর বা রাতে ঘুম হচ্ছে না তাঁদের। ঘরে টেকাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতিতেই এমন যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের।