চৈত্রের দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত, এই সময় প্রাণ জুড়োতে গলায় একটু বিয়ার (beer) ঢালতে সাধ অনেকেরই। কিন্তু সাধ থাকলেও উপায় যে নেই! রাজ্য জুড়ে বিয়ারের আকাল দেখা দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চাহিদা আছে, কিন্তু ততটা জোগান নেই। আর সেটা সামাল দিতেই বিয়ার সরবরাহের ক্ষেত্রে রেশন চালু করল রাজ্য আবগারি দফতর (State excise department)। নতুন নিয়ম অনুযায়ী এক বছর আগে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে যে দোকান থেকে যত পরিমাণে বিয়ার বিক্রি হয়েছিল, এখন ঠিক ততটাই সরবরাহ হবে। এর একটা নীতিও ঠিক করেছে আবগারি দফতর।
কোভিড কমতেই মদ বিক্রির রেকর্ড, গত অর্থবর্ষে ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা মুনাফা রাজ্যের
তবে মদ বিক্রেতাদের বক্তব্য কিছুটা আলাদা। তাঁরা বলছেন, আবগারি দফতরের পর্যাপ্ত সরবরাহ ব্যবস্থা নেই। সে কারণেই জেলায় জেলায় দোকানে বিয়ার বাড়ন্ত। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য আবগারি দফতরের কমিশনার এস উমাশঙ্কর (S umashankar)। জোগানের সমস্যার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে সেই সময় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। সেই সঙ্গে এ বছর বিয়ারের দাম কমে যাওয়ায় বেড়েছে চাহিদা।
চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় বিয়ারের কালোবাজারি শুরু হতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়। আবগারি দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, মার্চ মাস থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছিল। যে সব বিক্রেতাদের আর্থিক ক্ষমতা বেশি, তারা অনলাইনে একসঙ্গে অনেক বিয়ার তুলে নিচ্ছিলেন। এর ফলে অন্য দোকানদারদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। উমাশঙ্কর জানিয়েছেন কারোর প্রতি পক্ষপাত না করে সকলের জন্য এক নিয়ম চালু করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।