বহরমপুরকে বলা হত অধীরের গড় । প্রায় ২৫ বছর ওই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি । কিন্তু, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ঘটল পালাবদল । নিজের কেন্দ্র থেকে 'বহিরাগত' ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরে গেলেন অধীর । সেইসময় কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, হারকে মেনে নেওয়া রাজনৈতিক দায়িত্ব । তবে, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীরের ইস্তফা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা । জুন মাসেই খবর ছড়িয়েছিল হাই কমান্ডের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন অধীর । একমাস পর আবারও একই ইস্যুতে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে অধীরের নাম । সোমবার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতারা । বৈঠকের পরই কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা গুলাম মীর জানিয়ে দেন, লোকসভা নির্বাচনের পরই পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অধীর । কিন্তু, এদিকে, কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় জানিয়েছেন, যে খবরটা ছড়ানো হচ্ছে, সেটা সত্যি নয় । গোটা বিষয়টা নিয়ে দলের অন্দরেই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে । তারপরই জল্পনা ছড়ায়, অধীর কি তাহলে সত্যিই ইস্তফা দিচ্ছেন ? কংগ্রেস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এডিটরজি বাংলার তরফে । কী জানালেন তিনি ?
হোয়াটঅ্যাপ মেসেজে অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান , 'আমি পরে নিজে মিডিয়াকে বুঝিয়ে বলব । কারণ আমি নিজেও কনফিউজড ।' অর্থাৎ কংগ্রেস নেতা ইস্তফার বিষয়টা একেবারেই স্পষ্ট করলেন না । তাহলে কি দ্বন্দ্বে রয়েছেন অধীরও ? জুনেও যখন অধীরের ইস্তফার জল্পনা ছড়ায়, সেইসময় তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি প্রদেশ কংগ্রেস অস্থায়ী সভাপতি । মল্লিকার্জুন খাড়্গে যেদিন থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন, সেদিন থেকে ভারতবর্ষের আর কোনও রাজ্যে সভাপতি হয়নি । তিনি অস্থায়ী সভাপতি।
একই কথা বলছেন সৌম্য আইচ রায়ও । সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, খবরটা যেটা ছড়ানো হচ্ছে, সেটা ঠিক নয় । মল্লিকাঅর্জুন খাড়্গে সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার পর ভারতে আর কোনও রাজ্যে সভাপতি হয়নি । তাঁরা প্রত্যেকেই অস্থায়ী । সব রাজ্য নিয়ে আলোচনা চলেছ । পশ্চিমবঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে । পরিবর্তন হতেও পারে আবার নাও হতে পারে । সবটাই শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবেন ।
পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি কে হবেন,সে ব্যাপারে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত জানানো হবে । আবারও বৈঠকে বসবে হাইকমান্ড । নতুন কে সভাপতি হবেন, কিংবা অধীরকেই সেই পদে ফের নিয়ে আসা হয় কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল ।