দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন থানা (Kolkata police) এলাকার আজাদগড়ে এক যুবকের পুলিশের মারধরে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যুবকের নাম দীপঙ্কর সাহা। পুলিশের দাবি, যুবক মাদকাসক্ত ছিলেন। মারধরের জন্য তাঁর মৃত্যু হয়নি। দীপঙ্করের দাদা রাজীব সাহা এলাকায় বিজেপি (BJP) নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি গত কলকাতা পুরভোটে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন।
দীপঙ্করের পরিবারের অভিযোগ, গত ৩১ জুলাই পুলিশ দীপঙ্করকে তাঁর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে জখম অবস্থায় বাড়িতে ফেরেন দীপঙ্কর। দীপঙ্কর বাড়ি এসে জানান, পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে। তাঁর শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেই রাতেই দীপঙ্করের জ্বর আসে। ২ অগাস্ট তাঁকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, দীপঙ্করের ডান হাতের কবজিতে চিড় রয়েছে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর ৪ অগাস্ট দীপঙ্করের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে দীপঙ্করের মৃত্যু হয়। এরপরেই দীপঙ্করের পরিবারের তরফে গল্ফগ্রিন থানায় পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশের দাবি, গত রবিবার রাতে দীপঙ্কর সাহা ও তাঁর চার বন্ধু মাদক নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের গল্ফগ্রিন থানায় নিয়ে আসে। থানার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাত ১০টা ২৬ মিনিটে তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আধ ঘণ্টা পর তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। দীপঙ্করকে মারধর করা হয়নি। তবে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় গল্ফগ্রিন থানার এক পুলিশ আধিকারিক, কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসি পর্যায়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দীপঙ্করের দাদা এলাকায় বিজেপি নেতা। তাই পরিবারের সন্দেহ, রাজনৈতিক কারণে দীপঙ্করের এই পরিণতি।