হাঁসখালি কাণ্ডে ( Hanskhali Rape Case) এবার বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার (Victim's Father Allegation) । তাঁর অভিযোগ, তাঁদের মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়েছিল । তাঁদের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মাদুরে মুড়ে মেয়ের মৃতদেহ ছিনিয়ে নিয়েছিল অভিযুক্ত ও তার দলবল ।
সেদিনের রাতের ঘটনার কথা স্মরণ করে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, "জন্মদিনের পার্টি থেকে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় আনার পরেই হুমকি দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল । থানা কিংবা হাসপাতালে না নিয়ে যাওয়ার জন্য বারবার খুনের হুমকি দেয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে । মেয়ে মারা যাওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই দলবল নিয়ে চড়াও হয় সে । বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে ফেলার হুমকি দিয়ে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মাদুরে মুড়ে মৃতদেহ ছিনিয়ে নেওয়া হয় ।" নির্যাতিতার বাবার আরও অভিযোগ, "মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার পরে গ্রামেরই দুইজন এসে তাদের শ্মশানে যেতে বলে । শ্মশানে গিয়ে দেখি, সব শেষ ।"
হাঁসখালিতে নাবালিকার ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে । ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ালাকে গ্রেফতার করা হয়েছে । মঙ্গলবার প্রভাকর পোদ্দার নামে তৃণমূল নেতার(TMC Leader) আরেক ভাগ্নেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ।
এদিকে, বগটুইয়ের পর হাঁসখালিতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম(Fact Finding Team) পাঠাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব(BJP)। বিজেপির পাঁচ মহিলা নেতৃত্বকে নিয়ে গঠিত হয়েছে এই দল । সেখানে রয়েছেন যোগী সরকারের(Yogi Adityanath) ক্যাবিনেট মন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য, সাংসদ রেখা বর্মা, অভিনেত্রী খুশবু সুন্দর, মালদার ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, এবং তামিলনাড়ুর বিধায়ক ও বিজেপি মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন । জানা গেছে, হাঁসখালিতে(Hanskhali Rape Case) এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে রিপোর্ট পেশ করবে বিজেপির এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম ।
দিনদুয়েক আগেই হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নির্ভয়ার মা আশাদেবী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তিনি । তাঁর মতে, মমতা অত্যন্ত ‘অসংবেদনশীল’ মন্তব্য করেছেন । একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এমন মন্তব্য যে প্রত্যাশিত নয়, সে বার্তাও দেন তিনি ।