উৎসবের মরশুম মানেই বাজার আগুন! এ যেন এক অলিখিত নিয়ম! ভাইফোঁটাতেও তার অন্যথা হল না। আনাজ থেকে মাছ-মাংস— দাম শুনলেই চমকে যাচ্ছেন ক্রেতারা।
মানিকতলা, গড়িয়াহাট, কলেজ স্ট্রিট বা ল্যান্সডাউন— সব বাজারেই জিনিস কিনতে নাকাল ক্রেতারা। লক্ষ্মীপুজোর আগেও আনাজ, মাছ-মাংসের দাম বেড়েছিল কলকাতায়। ভাইফোঁটাতেও একই ছবি!
‘ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজ়েশন যেন একরকম দায় অস্বীকারই করছে। রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলছেন, ‘‘প্রতি বছর লক্ষ্মীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রীর দাম একটু বেশি থাকে। শীত পড়লে দাম কমে।’’ ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেন্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি কমল দে বলেন, ‘‘সারের দাম, জ্বালানির দাম বাড়ায় চাষিরা দূর থেকে বাজারে আনাজ আনতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। সে কারণেই দাম বাড়ছে।
কলকাতার বাজারে বুধবার জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে। চন্দ্রমুখী আলু ও পেঁয়াজ ৪০ টাকায়। মানিকতলা বাজারে কুমড়োর দাম এক ধাক্কায় ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে। পটল, ফুলকপি, টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, ঢেঁড়স, বেগুনের অবস্থাও তথৈবচ।
খাসির মাংস/ মুরগীর মাংস এক ধাক্কায় কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়েছে। পাবদা বিকোচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। ভেটকির দাম ৬০০-৭০০ টাকা।এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দর ১৫০০-১৮০০ টাকা। বড় কাতলার দর কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪৫০ টাকা। পাঁচ কেজি ওজনের কাটা রুই মাছের দাম ৩০০ টাকা থেকে হয়েছে ৪০০।