প্রবল নিম্নচাপের জেরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় চলছে বৃষ্টি। আর তার ফলে জলের তলায় বিস্তীর্ণ এলাকা। বীরভূম, হাওড়া, বর্ধমান, হুগলি এবং দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে জল জমেছে। সমস্যায় পড়েছেন কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
অতিবৃষ্টিতে গোয়াল ঘরের দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। তাঁর নাম অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় (৫০)। সোমবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের বারাবনি থানার চটি রানীগঞ্জ এলাকায়। এই ঘটনায় একটি গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে একেবারে জলের তলায় ফসল সহ চাষের জমি। এমনই চিত্র গোঘাট দু নম্বর ব্লকের পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক কৃষি জমিতে। লাগাতার বৃষ্টিতে ধান জমিগুলি একেবারে ডুবে গিয়েছে। পাশাপাশি বেগুন, পটল, টমেটো সহ একাধিক ফসল জলে ডুবে যাওয়ার ফলে পচন শুরু হয়েছে। আর সেইকারণে ফসল পুরোপুরি ফলার আগেই ফসল তুলে নিচ্ছেন স্থানীয় চাষিদের।
তাঁরা জানান, এই বৃষ্টিতে তাঁদের প্রচুর পরিমাণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁদের।
এদিকে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় বীরভূমের বিস্তীর্ণ অংশ। কোপাই নদীর জল বইছে বিপদসীমার উপরে। কঙ্কালীতলার শক্তিপীঠ মন্দিরও জলের তলায় ডুবেছে। ফলে পুজো সংক্রান্ত দৈনন্দিন কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। জল কমলে ফের মন্দিরের কাজকর্ম শুরু হবে।
বীরভূমেও নদী সংলগ্ন এলাকা জলের তলায়। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে চাষিরা। একই পরিস্থিতি বর্ধমানেও। বর্ধমান শহরের পাশ দিয়ে বইছে দামোদর নদ। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া বর্ষণের জেরে দামোদরেও জল বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে জলমগ্ন একাধিক এলাকা।