আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে প্রতারণার ফাঁদ। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে সক্রিয় প্রতারকরা। আর তাদের ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়াতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। একের পর এক অভিযোগ পেয়ে চিন্তায় পুলিশও।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আঙুলের ছাপ ক্লোন করছে প্রতারকরা। এবং ব্যাঙ্কে সেই ক্লোন করা আঙুলের ছাপ কাজে লাগিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছে।
এমনই ঘটনার শিকার হয়েছেন মহেশতলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কর। প্রমোটারির ব্যবসা রয়েছে তাঁর। দিন কয়েক আগে তাঁর ফোনে একটি মেসেজ আসে। তার মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, তাঁর একটি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও প্রসেনজিৎবাবু ওইদিন ব্যাঙ্ক থেকে কোনও টাকা তোলেননি।
ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করার পর তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অনুমান, রেশন দোকান থেকে আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তোলার সময় বায়োমেট্রিক ছাপ ক্লোন করা হয়েছিল। যদিও প্রসেনজিৎবাবু জানিয়েছেন তিনি কোনওদিন রেশন তোলেননা। তবে তাঁর ধারণা, বেহালা রেজিস্ট্রি অফিসে তিনি গিয়েছিলেন একটি জমি রেজিস্ট্রি করতে। সেখান থেকেই ক্লোন হয়ে থাকতে পারে।