দীর্ঘ আটবছর পর জেলমুক্তি ঘটল নেতাইয়ের সিপিআইএম নেত্রী ফুল্লরা মণ্ডলের। শুক্রবার সকালে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে মেদিনীপুর সংশোধনাগারে যান দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন বাম সাংসদ পুলিনবিহারী বাস্কে সহ অগণিত বাম কর্মী-সমর্থক।
জেল থেকে বেরোতেই ফুল্লরাকে মালা পরিয়ে দেন কর্মী-সমর্থকরা। তারপর ওই এলাকায় বিরাট মিছিল হয়। জেল চত্বরে উপস্থিত হয়ে সুশান্ত ঘোষ দাবি করেন, ফুল্লরা ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁর দাবি, শাসক দল বুঝেছিল ফুল্লরাকে জেলে না ঢোকালে ওই এলাকায় লাল ঝাণ্ডা নামানো যাবে না, তাই এই কাজ করা হয়েছিল। সুশান্ত ঘোষ আরও অভিযোগ করেন, গত ৮ বছরে একবারও প্যারোল দেওয়া হয়নি বাম নেত্রী ফুল্লরাকে। এমনকী মা মারা যাওয়ার পরও তাঁকে প্যারোল দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারকে ‘অমানবিক’ বলেও উল্লেখ করেন সুশান্ত। এ দিন ফুল্লরাকে ঘিরে বাম কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন- Sukanta Majumder on TMC: 'হাকিমকেও এবার ভিতরে পাঠানো হবে', ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড় ব্লকের নেতাই গ্রামে সিপিআইএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গ্রামবাসীদের উপর গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। সিপিআইএম নেতা অনুজ পান্ডে, ডালিম পান্ডে, ফুল্লরা মণ্ডল, চণ্ডী করণ, তপন দে, শেখ খলিলুদ্দিনের-সহ একাধিক নাম জড়ায় ওই ঘটনায়। ২০১৩ সালে নেতাই হত্যা মামলার ভার নেয় সিবিআই। পরের বছর ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।