ক্লাসরুমের ব্ল্যাকবোর্ডে এখনও বড়- করে রুটিন লেখা, ধুলো জমছে চেয়ার টেবিলে। শুধু পড়ুয়াদের কোলাহল নেই, কারণ পড়ুয়াই নেই একজনও। তবু নিয়ম করে স্কুলে আসেন দু'জন শিক্ষক। এভাবেই চলছে কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি জুনিয়র হাই স্কুল।
বিগত কয়েক বছর ধরেই পড়ুয়া কমছিল। ২০২১ এ পড়ুয়া ছিল ১৭ জন, গত বছর কমে দাঁড়ায় ৭। এবার তাঁদেরকেও অভিভাবকেরা এই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ভর্তি করেছেন হাইস্কুলে। কেন? স্কুলে পরিকাঠামো নেই, শিক্ষক মাত্র দু'জন, তাঁরাও স্থায়ী নন, অতিথি শিক্ষক। রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, নুরুল আমিন।
২০১৩ সালে তৈরি হয়েছিল গঙ্গাটিকুরি জুনিয়র হাই স্কুল, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হত। প্রথম প্রথম শতাধিক পড়ুয়া ছিল, ক্রমেই সংখ্যাটা কমতে থাকে। এখন বাকি নেই একজন পড়ুয়াও।