শেষ হল চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা । কিন্তু, নিয়োগ আদৌ হবে তো ? সকালেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী । এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে । যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়ে রাজনৈতিক তরজা । তবে, পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের দাবি, এটাকে প্রশ্ন লিক বলে না । পর্ষদকে কলুষিত করতেই উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে এটা করেছে । একই যুক্তি কুণাল ঘোষেরও । বিজেপি-সিপিএমের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি ।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে গৌতম পাল বলেন,'এটাকে প্রশ্নপত্র লিক বলে না। কারণ যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন পত্র ছড়িয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেই সময় পরীক্ষার্থীরা হলের ভিতরে ।' অন্যদিকে কুণাল ঘোষের দাবি,'বহু জায়গায় এমন কোনও ব্যক্তি রয়েছেন যারা কেউ সিপিএম বা বিজেপি সমর্থক, তারা এই কাজ করতেই পারেন। প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে তা পোস্ট করে দিলেন। অর্ন্তঘাতের জন্য এই কাজ করতেই পারেন। কিন্তু আসল বিষয় হল যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে সেই সময় পরীক্ষার্থীরা হলের ভিতরেই ছিলেন।'
রবিবার সকালেই টেটের প্রশ্ন নিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'প্রশ্ন ফোন করে করে বিক্রি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের আত্মীয়দের মোবাইল নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ টাকা নিয়ে করেছে। এটাতে কেউ চাকরি পাবে না। পরীক্ষার্থী পিছু এক হাজার টাকা নষ্ট করল। ৫০০ টাকা আগে নিয়েছে। '
রবিবার মোট ৭৭৩ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রায় ৩ লাখ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার্থী টেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। রাজ্যের কয়েকটি সেন্টারে দেরিতে পৌঁছনর কারণে কয়েকজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারেননি ।