শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হিমসিম খেতে হয়েছিল। কথা দিয়েও আসেননি পুরোহিত ও নাপিত। পাশে দাঁড়াল বামেরা (CPIM)। বামনেতাদের উদ্যোগেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করল হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবার। এদিনই হাঁসখালি (Hanskhali Rape Case) যান কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবের ৭ জনের প্রতিনিধি দল। এদিন সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দলও (CBI Team) নির্যাতিতার বাড়িতে যান।
হাঁসখালি ঘটনায় রাজনৈতির পারদ তুঙ্গে। নদীয়ার এই ঘটনা পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় স্তরেও। তাই শেষকৃত্যের কাজে গ্রামের পুরোহিত বা নাপিত, কেউই জড়াতে চাননি নিজেকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সেফ ডেমোক্রেসি দলের ৭ জনের প্রতিনিধি দল। এদিকে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছিল পরিবারের। অবশেষে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য পুরোহিত আনা হয় বামদলের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: প্রসঙ্গ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, সৌগতর দাবি ওড়ালেন শতাব্দী
হাঁসখালির গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসতেই পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা শুরু হয় বাড়িতে। হঠাৎ করে এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতার বাবা-মা। যদিও হাসপাতালে ওই দিনই ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। অভাবের সংসারে মেয়ের শেষকৃত্যের আয়োজন করেছিলেন বাবা-মা। বাড়িতে আসার কথা ছিল গ্রামের পুরোহিত হারান চক্রবর্তীর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আসেননি তিনি। নখ কাটার জন্য এক নাপিতকেও ডাকা হয়েছিল। তিনিও শেষ মুহূর্তে নির্যাতিতার বাড়িতে আসেননি।
এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার গভীর রাতে হাঁসখালি যায় সিবিআইয়ের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। যাদের মধ্যে দুজন মহিলা ছিলেন। ধর্ষণকাণ্ডে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত সোহেল গোয়েল ও প্রভাকর পোদ্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। বৃহস্পতিবার হাঁসখালির অস্থায়ী ক্যাম্পে আরও এক সিবিআই প্রতিনিধি দল গিয়েছে। তারা কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরাও কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে।
গত ৪ এপ্রিল প্রেমিকের জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। অভিযোগ, রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় সে বাড়ি ফেরে, পেটে যন্ত্রণা হয়। ভোররাতে মারা যায় ওই ছাত্রী। তৃণমূল নেতার ছেলে সোহেল গোয়েল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরাই ওই নির্যাতিতার দেহ ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া দাহ করে ফেলে বলে অভিযোগ। বর্তমানে হাঁসখালি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন সিবিআই কর্তারা।