গরমের ছুটি কাটিয়ে সোমবার থেকে খুলে গেল রাজ্যের সব সরকারি স্কুল। দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে স্কুলে ফিরে খুশি পড়ুয়ারা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, প্রতিটি সরকারি স্কুলে সকাল থেকেই ছিল ব্যস্ততার ছবি। কোভিড বিধি মেনেই এদিন থেকে শুরু হয়েছে ক্লাস। প্রায় প্রতিটি স্কুলে ঢোকার আগে পড়ুয়াদের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। স্যানিটাইজ করার পরেই ক্লাসে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবারই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে জানা হয়েছিল, প্রতিটি স্কুলকে কোভিড বিধি মানতে হবে। এই বছর প্রথমে আবহাওয়া ও পরে করোনার জেরে দীর্ঘ হয়েছিল গরমের ছুটি। সেই পর্ব শেষ করে সোমবার থেকে খুলল রাজ্যের সরকারি স্কুল।
এবছর গরমের ছুটি বাড়ানো নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সমালোচকদের একাংশের মতে, গরম এতটা বেশি ছিল না যে, গরমের ছুটি বাড়িয়ে দিতে হবে। অনেকেই পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার তুলনা টেনে বলেছেন, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের থেকেও গরম বেশি ছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি বাড়ানো হয়নি। কিন্তু অন্য অংশের মতে, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় স্কুলগুলিতে গরমের ছুটির কথা বলেছিলেন, তখন প্রবল দাবদাহে তেতে ছিল বাংলা। ওই পরিস্থিতিতে অনেক স্কুলেই পড়ুয়ার সংখ্য়া কমতে শুরু করেছিল। জেলার অনেক স্কুল থেকেই পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে সরকার কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি।
উল্লেখ্য, এই বছর ২ মে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছিল। প্রথমে স্কুলগুলি খোলার কথা ছিল ১৫ জুন। কিন্তু পরবর্তীতে তা আরও ১১দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে স্কুলগুলিতে ষান্মাষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার তারিখও পিছিয়ে দেওয়া হয়। বর্ষার আগে দক্ষিণবঙ্গে কিছুটা গরম পড়লেও উত্তরবঙ্গ তাপমাত্রা সহনীয় ছিল। সেখানকার অভিভাবকদের একাংশ তাই রাজ্য সরকারের ছুটি বাড়ানোর বিরোধিতা করে। ছুটি কমানোর দাবিতে অনেকে আদালতের দ্বারস্থ হন। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়ে পাঠায় হাই কোর্ট।
তবে, সরকারি নির্দেশিকা না মেনেই ২৭ জুনের আগেই রাজ্যের কয়েকটি বেসরকারি স্কুল গত সোমবার থেকে খুলেছে। মূলত সিএনআইয়ের অধীনের স্কুলগুলিতে ২০ জুন থেকে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে।