নন্দীগ্রাম নিয়ে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বুধবার গভীর রাতে সোনাচূড়ায় ঠিক কী ঘটেছিল এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে মডেল কোড অফ কন্ডাক্টের মধ্যে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেবিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন। আদর্শ আচরণ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি রক্তস্নান বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, যথাযথ রিপোর্ট জমা না দিলে সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Read More- ভোটগ্রহণের আগেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম, BJP-কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ! অস্বীকার শাসকদলের
এদিকে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও থমথমে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকা। বুধবার রাতে রথীবালা আড়ি নামে এক মহিলাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তাঁর ছেলে সঞ্জয় আড়ি ওই এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী। দুষ্কৃতীদের হাতে তিনিও আহত হন বলেও অভিযোগ। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি বলে খবর।
এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকা। বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করেন। স্থানীয় বাজারের একটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নন্দীগ্রাম থানায় পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, IC-র সঙ্গে বৈঠক করেছেন খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। যেখানে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পার্থ ভৌমিক। তাঁদের দাবি, BJP-র গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই খুন হতে হয়েছে রথীবালা আড়িকে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।