সোনারপুরে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার জোড়া কঙ্কাল । সম্পত্তির লোভে দিদা ও বিশেষভাবে সক্ষম ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠল নাতনি ও নাত জামাইয়ের বিরুদ্ধে । শুধু তাই নয়, পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর মৃতদেহ দু'টি সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখে তারা । শনিবার রাতেই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ঠাকুমা-নাতির কঙ্কাল উদ্ধার হয় । মৃতদের নাম গঙ্গারানি দাস ও মানসরঞ্জন দাস । অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ । দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের জগদ্দল এলাকার ঘটনা ।
জানা গিয়েছে, পুজোর আগের থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ঠাকুমা ও নাতি । তাঁদের জগদ্দলের বাড়িতেই থাকত অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী শান্তনু । প্রিয়াঙ্কা আসলে গঙ্গারানি দাসের নাতনি । এদিকে, প্রিয়াঙ্কার মায়ের সঙ্গে তাঁর দিদার সম্পর্ক ভাল ছিল না । কিন্তু, মায়ের খোঁজ না পাওয়ায় জগদ্দলের বাড়িতে আসেন প্রিয়াঙ্কার মা । প্রথমে তাঁকে বের করে দেয় প্রিয়াঙ্কা । কিন্তু, সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীদের নিয়ে বাড়িতে ঢোকেন । সেপটিক ট্যাঙ্কের নতুন ঢালাই দেখে, সন্দেহ আরও দ্বিগুণ হয় । ওই ঢালাই ভাঙা হয় । তারপর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় জোড়া কঙ্কাল দু'টি ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মাসখানেক আগেই তাঁদের খুন করা হয়েছে । খুনের পিছনে আদৌ সম্পত্তির লোভ নাকি অন্য কোনও কারণ, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ