ক্যানসার কেড়ে নিল বসিরহাটের সাংসদকে। প্রয়াত তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হাজির নুরুল। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। বুধবার দীর্ঘ রোগভোগের পর দত্তপুকুরে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তৃণমূল সাংসদ। ২০২৪ সালে গত লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপির রেখা পাত্রকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার সাংসদ হয়েছিলেন হাজির নুরুল। অভিনেত্রী নুসরত জাহানের জায়গায় তাঁকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নুরুলের মৃত্যুতে শোকবার্তা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানিয়েছেন, সুন্দরবন এলাকার মানুষের জন্য নুরুলের সামাজিক কাজ সবসময় মনে রাখবে বাংলার মানুষ। মমতার দাবি, হাজি ছিলেন গরীবের নেতা।
গত ছ মাস শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই বসিরহাটে কাজ চালাচ্ছিলেন হাজি নুরুল। ভোটের সময়ও তিনি অসুস্থ ছিলেন। বারবার তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। মাঝে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল দিল্লির অ্যাপেলো ও এইমস হাসপাতালে। এদিন দুপুরে দত্তপুকুরের বয়রা গ্রামে নিজের বাড়িতে দুপুর সোয়া একটা নাগাদ প্রয়াত হলে সাংসদ।
২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল। তার আগে লোকসভা ভোটে যে কটি আসনে বামেদার হার হয়েছিল, তার মধ্যে বসিরহাট ছিল অন্যতম। তৃণমূলের টিকিটে এই কেন্দ্র থেকে প্রথমবার জিতে সংসদে গিয়েছিলেন হাজি নুরুল। সেই সময়ও রাজনৈতিক মহল দাবি করেছিল, বসিরহাটে ছিল মমতার মাস্টারস্ট্রোক। ঠিক যেমনটা এবার তিনি করেছিলেন।
নারী নির্যাতনের অভিযোগ উত্তাল বসিরহাটের সন্দেশখালি। এই আবহে নির্বাচনের আগে প্রার্থী বদল করে চমক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বসিরহাটের জনসভায় গিয়ে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছিলেন, নুরুল জিতলে তিনি প্রথম বসিরহাটে আসবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রেখেওছিলেন।
২০১৪ সালে বসিরহাট থেকে সরিয়ে জঙ্গিপুরে প্রার্থী করা হয় হাজি নুরুলকে। সেবার হেরে যান তিনি। ২০১৬ সালে হাড়োয়ার বিধায়ক হিসাবে বিধানসভায় যান নুরুল। ২০২১ সালে ওই কেন্দ্র থেকে ফের বিধায়ক হন তিনি।