সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের চাঁচলে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর এলাকায়। একটি আমবাগান থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। স্ত্রীর অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। অভিযোগ স্বামীরই এক মহিলা সহকর্মীর দিকে। তদন্তকারীদের অনুমান, ত্রিকোণ সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই খুন। মহিলার সহকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম মনজির ঔরঙ্গজেব ৷ তিনি চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ৷ পরিবার সূত্রে খবর, ৭ বছর আগে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পান মনজির৷ চাঁচল থানাতেই কাজ করতেন তিনি৷ দুই পুত্রসন্তান আছে তাঁর৷ বৃহস্পতিবার সকালে মনজিরের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি আমবাগানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- Maoist Posters in Purulia: 'কিষেণজীর মৃত্যু বদলা চাই', ফের মাওবাদী পোস্টারে আতঙ্ক পুরুলিয়ায়
স্থানীয় সূত্রে খবর, চাকরি সূত্রে মনজিরের সঙ্গে পরিচয় হয় খরবা ফাঁড়ির অধীনেই কর্মরত ফিরদৌসি খাতুন ওরফে লিলি নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। প্রায় একসঙ্গেই চাকরি শুরু করেন তাঁরা৷ লিলির বাড়ি ওই এলাকার কালীগঞ্জ গ্রামে৷ পরিবারের দাবি, কয়েক দিন আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় লিলির।৷ জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে মনজিরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু কিছু দিন ধরে লিলিকে এড়িয়ে চলছিলেন মনজির।
মনজিরের কাকা বাঁটুল হকের কথায়, ‘‘মনজিরের গলায় অনেক আঘাতের চিহ্ন আছে। তাই মনে হচ্ছে এটা খুন। ওদের বাড়িতে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে হুমকি দিয়েছিল ফিরদৌসি। প্রেম-ভালবাসা থাকলে এভাবে হুমকি দিতে পারত না। কী রহস্য আছে তা পুলিশই বলতে পারবে।’’