কোভিডের চিকিৎসা (Covid Treatment) করাতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বিল ধরাল হাসপাতাল (Private Hospital)। অভিযোগ পেয়েই জরিমানা করল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন (Health Commission)। রোগীর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ফেরতের নির্দেশ কমিশনের।
করোনা আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ব্যারাকপুরের বাসিন্দা ডালিয়া বিশ্বাস। তিনি ২৯ দিন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। ডিসচার্জের পর তাঁর চিকিৎসা বাবদ বিল হয় ২৯ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে শুধু ওষুধের বিল হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। আর বাকি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিলে ধরা হয়েছে সাড়ে চার লক্ষ টাকা। চিকিৎসা সরঞ্জামের বিল ধরা হয়েছে ২ লক্ষ টাকা।
এত টাকা বিল দেখে স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ করে রোগীর পরিবার। অভিযোগ পেয়ে চোখ কপালে ওঠে স্বাস্থ্য কমিশনের কর্তাদের। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২ লক্ষ টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অফলাইন ক্লাস চালুর দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ
স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "এই বিল কমিশন পর্যালোচনা করেছে। অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বেশি বিল করা হয়েছে।" তিনি জানান, এত বিলের কোনও কারণ খুঁজে পায়নি কমিশন। রোগীর ফুসফুসের অবস্থা যাচাই করার জন্য অত্যাধুনিক বায়োফায়ার টেস্ট করা হয়। এই টেস্টের খরচ প্রায় ৪০ হাজার টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, এই টেস্টের আগে রোগীর পরিবারের অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, মোট পাঁচবার এই হাসপাতালের নামে এই অভিযোগ উঠেছে। তাই কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।