ডিম-ভাত । বাঙালির পছন্দের সস্তার মেনু । কিন্তু, এই ডিম-ভাত নিয়ে কম উপহাস হয়নি । রাজনৈতিক দলগুলির বিভিন্ন সমাবেশে ডিম-ভাত খাওয়ানো হয় । বিশেষ করে শাসকদলের যে কোনও সমাবেশে এই মেনুটাই থাকে । সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিম-ভাত নিয়ে আকছাড় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে ট্রোল করা হয় । কিন্তু, ভোট গণনার দিনও আবারও সেই ডিম-ভাতেই আস্থা রাখছেন শাসক থেকে বিরোধী । মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটগণনা কেন্দ্রগুলিতে তৃণমূল ছাড়া বিভিন্ন দলের মেনুতে ডিম-ভাত-ই ট্রেন্ড করছে । আনন্দবাজার অনলাইনের সমীক্ষা অনুযায়ী, বেশিরভাগ জেলায় সিপিএম-বিজেপি এজেন্টদের দুপুরের খাবারে ডিম-ভাত দেওয়া হচ্ছে বলে খবর ।
পঞ্চায়েতে তিন স্তরের গণনা মিটতে সময় লাগে । ফল আসতে আসতে বুধবার সকাল হয়ে যেতে পারে । সেক্ষেত্রে গণনাকেন্দ্রে পালা করে নিজের এজেন্টদের রাখবে বিভিন দল । তাঁদের জন্য, সকাল, দুপুর আর রাতে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে । সকাল বেলা বেশিরভাগ গণনাকেন্দ্রে শাসক ও বিরোধীদের তরফে দেওয়া হচ্ছে চা, বিস্কুট, কলা, কেক, ডিম সিদ্ধ । সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে দুপুরের মেনু । বেশিরভাগ জায়গায়, তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি ও সিপিএমের তরফে ডিম-ভাত দেওয়া হচ্ছে । হুগলি জেলার হরিপালের সিপিএম নেতা মিন্টু বেরা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছে, দুপুরে গণনাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে ডিমের ঝোল-ভাত । রাতে কতক্ষণ গণনা চলে সেটা দেখে নিয়ে রুটি-তরকারির বন্দোবস্ত করা হবে । অন্যদিকে, বিজেপি বলছে, দুপুরে সবাই যাতে পেট ভরে খেতে পারে সেটাই মূল নজর থাকবে । তাই সস্তায় পেট ভরে ডিম-ভাত যাতে খাওয়ানো যায় সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে ।
তবে, কয়েকজায়গায়, মাংস-ভাত ও মাছ-ভাতেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে । আবার কোথাও, নিরামিষ ডাল, ভাত, তরকারির ব্যবস্থা করেছে বিজেপি । অনেক জায়গায় সন্ধেবেলার টিফিনও দেওয়া হবে । সেই মেনুতে থাকতে চপ-মুড়ি, সিঙাড়া, কিংবা ঘুগনি মুড়ি । অনেক জায়গায় আবার বিরিয়ানিরও ব্যবস্থা করা হতে পারে । দল আলাদা, মেনুতেও তো ফারাক থাকবেই । কিন্তু, বেশিরভাগই কিন্তু ডিম-ভাত-এই ভরসা রাখছে ।