জেঠিমার আধার কার্ডে আঙুলের ছাপ। তাই নিজের আধার কার্ড আর তৈরি হয়নি। ৬ বছর ধরে চেষ্টার পর কলকাতা হাই কোর্টে মামলা মিঠুন দাস নামে এক ব্যক্তির। আধার কার্ড না থাকায় টেটে অনলাইনে আবেদন করতে পারেননি তিনি। আদালতে তাঁকে দ্রুত আধার কার্ড দেওয়ার আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, মিঠুন যাতে টেটে অফলাইনে আবেদন করতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এত দিনেও কেন আধার সংশোধনের কাজ হয়নি, ৮ দিনের মধ্যে আদালতে এসে তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। আগামী ১৮ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা মিঠুন দাস। তাঁর জেঠিমা অঞ্জলি দাসের সঙ্গে ২০১৬ সালে আধার কার্ড করাতে যান মিঠুন। আঙুলের ছাপ, চোখের মণি, মুখের ছবি নেওয়া হয় দুজনের। কিছুদিন পর অঞ্জলি দেবী আধার কার্ড হাতে পান। কিন্তু বাতিল হয়ে যায় মিঠুনের আধার কার্ড। আধার কর্তৃপক্ষ জানায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবেদন বাতিল হয়েছে। নতুন করে আবেদন করতে হবে।
মিঠুনের দাবি, নতুন আধার কার্ড করতে গেলে আবেদন নথিভুক্ত হয়নি। স্থানীয় কেন্দ্র থেকে তাঁকে কলকাতার অফিসে আসতে বলা হয়। কলকাতার আঞ্চলিক অফিস জানায়, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি যেতে হবে তাঁকে। তাঁর কার্ড অন্য কোনও কার্ডে ব্যবহার হওয়ায় আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। চলতি বছর ৩১ মে রাঁচি যান মিঠুন। সেখানে তাঁকে জানানো হয়, নিজের আধার কার্ড করতে গেলে বাতিল করতে হবে তাঁর জেঠিমার কার্ড। সে ক্ষেত্রেও জটিল পদ্ধতি আছে। অঞ্জলি দেবী নিজের কার্ড বাতিল করতে সম্মত হন। এরপরও আধার কেন্দ্রে আবেদন করে নিজের কার্ড করতে পারেননি মিঠুন।