এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমানে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নির্দেশে শনিবার রাতে চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করে ইডি (ED)। ইডির দাবি মেনে রবিবার সেই মামলার শুনানিতে পার্থকে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। এই নির্দেশ দেওয়ার সময় রাজ্যের প্রথম সারির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এর কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরি।
এই বিষয়ে হাই কোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণ —
১) সাধারণ মানুষ হিসাবে এসএসকেএম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভূমিকায় আমরা খুশি নই। সাম্প্রতিক অতীতে যখনই ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন অথবা তাঁদের তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে, তখনই তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব সফলভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন।
Droupadi Murmu:‘‘আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য ধন্যবাদ’’, রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিয়ে বললেন দ্রৌপদী মুর্মু
২) শাসকদলের ছাতার তলায় এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক পটভূমি রয়েছে, এই ধরনের রাজনৈতিক নেতারা যখনই বুঝতে পেরেছেন যে তদন্তকারী সংস্থার দ্বারা আর জিজ্ঞাসাবাদ হবে না, তখনই তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
৩) এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যালল রিপোর্টকে হাতিয়ার করে আদালতের সামনে পেশ হওয়াকে পর্যন্ত নেতারা এড়িয়ে গিয়েছেন।
৪) পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্ষীয়ান মন্ত্রী, যাঁর অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে এবং যিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাঁর পক্ষে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য নিয়ে এবং চিকিৎসার আড়ালে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৫) যদি এটা ঘটে তাহলে বিচারব্যবস্থা হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থীদের চোখের জলে অভিশপ্ত হবে। যাঁদের ভবিষ্যৎ টাকার লোভে বলি প্রদত্ত হয়েছে।