তাঁর রাজনীতিতে উত্থানের ঊর্ধমুখী গ্রাফ দেখার মতো। বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন বরাবর। কখনও বলেছেন বিপক্ষের ‘কবজি কেটে নেবেন’। কখনও পুলিশের গাড়িতে ‘বোম’ মারার ভয় দেখিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তৃণমূলের সেই দাপুটে নেতা গরুপাচার-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বৃহস্পতিবার। সাধারণ এক মাছ ব্যবসায়ী থেকে কী ভাবে এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ 'ইমেজ' গড়ে তুলেছিলেন অনুব্রত?
বোলপুরের ১৫ নম্বর ব্লকে বাস। পৈতৃক ভিটে বীরভূমের নানুরের হাট সেরান্দি গ্রামে। তিন ভাই-এর মধ্যে তিনি মেজো। বাবার ছিল মণিহারি দোকান। স্থানীয়রা বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি। তার পর থেকেই বসতেন বাবার মণিহারি দোকানে। কিছু দিন পর মাছের ব্যবসা শুরু করেন অনুব্রত।
CPM reacts on Anubrata arrest: অনুব্রতর গ্রেফতারিতে বাতাসা-নকুলদানা বিলি বামেদের, ঢ্যাঁড়া নিয়ে মিছিল
মাছের ব্যবসা থেকে ধীরে ধীরে রাজনীতিতে প্রবেশ। কংরেসে থাকাকালীনই তৃণমূল নেত্রীর নজর কেড়েছিলেন কেষ্ট। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পরই 'দিদি'র দলে যোগ দেন অনুব্রত। তখন অনুব্রত ছিলেন বীরভূমের জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি।
কয়েক মাসের মধ্যেই জেলা সভাপতি বিবাদের জেরে দল ছাড়েন, সেই থেকেই বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি পদে বসেন অনুব্রত। তখন থেকে তিনি ওই পদে।
পঞ্চায়েত ভোট থেকে বিধানসভা ভোট, বীরভূমে কে প্রার্থী হবেন, তার শেষ কথা বলতেন অনুব্রতই। অথচ নিজে কখনও প্রার্থী হননি। সেই নিয়ে আক্ষেপও ছিল না কখনও। ২০১৯-এ অনুব্রত মন্ডলের মা পুষ্পরাণি মণ্ডল। ২০২০তে তাঁর স্ত্রী ছবি মণ্ডল প্রয়াত হন। এখন পরিবার বলতে একমাত্র মেয়ে সুকন্যা।
গরুপাচার-কাণ্ডে ১০ বার অনুব্রতকে তলব করেছিল সিবিআই। অনুব্রত হাজিরা দিয়েছিলেন মাত্র একবার। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বারবার জানিয়েছেন, হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। শেষে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে আটক করে সিবিআই। দুপুরেই গ্রেফতার হন কেষ্ট।