পূর্ণিমার ভরা কোটাল, সঙ্গে দুরন্ত গতির পূবালি বাতাস। এই দুইয়ের প্রভাবে এখন উত্তাল বঙ্গোপসাগর। একের পর এক বিরাট ঢেউ আছড়ে পড়ছে সাগর পাড়ে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ভরা কোটালে জলমগ্ন সাগরের কপিলমুনি মন্দির চত্বর। সুন্দরবন উপকূলেও একের পর এক নদীবাঁধ উপচে প্লাবিত এলাকা। চাষের জমিতে প্রবেশ করেছে নোনা জল। ইয়াস পরবর্তী সময়ের ফের একবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। সাগরদ্বীপের বঙ্কিমনগরে আতঙ্কে ঘরছাড়া গ্রামবাসীদের একাংশ। সাগরের ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির।
ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লক প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকেই ব্লক প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে পর্যটকদের সতর্ক করার কাজ চালানো হয়। একই ছবি ধরা পড়েছে নামখানার বকখালিতে। সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে সমুদ্র স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসী মানুষদের জন্য খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। পাশপাশি, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ সংস্কার ও মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে। সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ব্লক প্রশাসন। এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।