অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার হতেই এবার সিবিআই রাডারে বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, তাঁকে অনুব্রতের বাড়ি যাওয়ার জন্য হাসপাতালের সুপার চাপ দিয়েছিলেন। তাঁর আরও দাবি ছিল, তাঁকে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখতে বলা হয়েছিল। এই চাপ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সুপার। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুপারের দাবি, তাঁকে শুধুমাত্র অনুব্রতের বাড়িতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। ইচ্ছা না হলে তিনি নাও যেতে পারতেন। শুক্রবার সিবিআই চন্দ্রনাথকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদিন সন্ধেবেলা তিনি সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানান, ”প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তাই কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, সেটাই করছি।”
সোমবার অনুব্রত মণ্ডল এসএসকেএম (SSKM) থেকে বোলপুরে ফেরার পর মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়ে চেকআপ করেন বোলপুর হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। অন্তত দিন সাতেকের ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই চর্চায় চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েই ছুটি নিয়েছিলেন। এসবের মাঝেই শুক্রবার সকালে আচমকাই চন্দ্রনাথ অধিকারীর বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের (CBI) তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেই সময় চন্দ্রনাথবাবু বাড়িতেই ছিলেন বলে খবর। প্রায় তিন ঘণ্টা ঘরে অধিকারী বাড়িতে ছিলেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- Anubrata Mandal: 'বাবা'র আবদার মেটালেন সিবিআই অফিসাররা, মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হল অনুব্রত মণ্ডলের
সিবিআইকে তিনি জানান, হাসপাতালের সুপারের নির্দেশেই অনুব্রতকে দেখতে তাঁর বাড়িতে মেডিক্যাল দল নিয়ে যান তিনি। তার পর তৃণমূল নেতার ‘অনুরোধে’ তাঁকে ১৪ দিনের ‘বেড রেস্ট’ লিখে দিয়েছিলেন। তবে সেই পরামর্শ কোনও প্যাডে নয়, নেতার বাড়ি থেকে একটি এ-৪ সাইজের কাগজ চেয়ে নিয়ে লিখে দিয়েছিলেন।