জুনিয়র ডাক্তারদের দশ দফা দাবির কোনওটিই বিলাসিতা নয়, বরং সেগুলি কাজ করার বাধ্যতামূলক পূর্ব শর্ত। সরকার চাইলেইসেই সব দাবি পূরণ করা সম্ভব। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর তরফে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
শুক্রবার, অষ্টমীর দিন ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন ষষ্ঠ দিনে পড়েছে। গত শনিবার রাত থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন ছয় জন জুনিয়র ডাক্তার, রবিবার অনশনে যোগ দেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গভীর রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে মীমাংসা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ।
মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে আইএমএ লিখেছে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল। তাঁদের দাবিগুলিকে সমর্থন করে আইএমএ। অবিলম্বে আপনার এ দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।’’
সর্বভারতীয় রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠন ‘ফেডেরেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ (এফএআইএমএ) এর তরফেও মমতাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের দশ দাবি না মানলে দেশ জুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এফএআইএমএ-র সদস্যেরা।
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সমস্যা মেটানোর দাবি জানিয়েছে রাজ্যের চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্তটরস ফোরাম’। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল বন্ধের আর্জিও জানিয়েছেন তারা।