শিথিল হয়েছে কার্ফু। খোলা হয়েছে স্কুল-কলেজ। দীর্ঘ আন্দোলনের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি। সে দেশে কারা সরকার গড়বে, সেই দিকে নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের। সোমবার বিকেলের পর থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিটি সীমান্তের উপরে। বিশেষ করে রাজ্যের প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তবে, সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক মনে হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে। বাংলাদেশ থেকে ঢুকেছে ভারতীয় ট্রাক। কলকাতায় স্ত্রী ঝরণা বেগমকে নিয়ে চিকিৎসা করা এসেছিলেন ঝিনাইদহের বাসিন্দা আলি হুসেন। দেশে ফেরার আগে দাবি করলেন, ছাত্রদের কথা শুনে এবং তাঁদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলে, ঢাকার মসনদ থেকে গদিচ্যুত হতে হত না শেখ হাসিনাকে।
৩২ নম্বর ধানমুন্ডি। বাংলাদেশের রাজনীতির পীঠস্থান বলা হয়। সেই বাড়ি আন্দোলনের আগুনে আজ ধ্বস্ত। বাংলাদেশের রাস্তায় দেখা গিয়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তির ভাঙার ছবি। দেশে ফেরার আগে বিষণ্ণ আলি হুসেনের মন। হুসেনের কথায়, যে মানুষটির জন্য আজ স্বাধীন বাংলাদেশ, তাঁকে এই ভাবে অপমান করা উচিত হয়নি।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিন সীমান্তে নজরদারি একইরকম ভাবে চলবে। বিএসএফের একটি সূত্র জানা গিয়েছে, রাজ্য লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাজুড়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষার জন্য দেশের অন্য অঞ্চল থেকেও পূর্বাঞ্চলে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে। বিশেষ নজর রাখতে শুরু করেছেন বিএসএফ গোয়েন্দারাও। অনুপ্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে যাতে অস্ত্র বা অন্য কোনও বস্তু পাচার না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।