আলোর উৎসবে ভাসছে এখন ফরাসডাঙা। উপলক্ষ্য জগদ্ধাত্রী পুজো। কিন্তু এবার এই পুজোর মধ্যে যে এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে, তা কল্পনাও করতে পারেনি স্থানীয় ফটকগোড়া আর সেই পাড়ায় থাকায় দত্তদের পরিবার। এই বাড়ির মেয়ে সুশ্রিকা। এলাকায় পেট লাভার্স বলেই পরিচিত ছিলেন। কী হল তাঁর ?
ফটকগোড়ার যে জগদ্ধাত্রী পুজো, সেই কমিটির সদস্য ছিলেন সুশ্রিকা। ষষ্ঠীর দিন তিনি ও তাঁর মা গিয়েছিলেন ঠাকুর দেখতে। তাঁদের সঙ্গে ছিল বাড়ির দুই পোষ্য। এক পোষ্যকে নিয়ে প্যান্ডেলে ঢুকেছিলেন সুশ্রিকার মা। সুশ্রিকার বাবা সুমন দত্তের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে যখন পোষ্য কোলে প্যান্ডেলে ঢুকেছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।
পোষ্য নিয়ে প্যান্ডেলে ঢোকার জন্য পাড়ার ক্লাবের কাছে নিজের ভুলের কথা স্বীকার করেছিলেন সুশ্রিকা। যা তিনি পোস্ট করেছিলেন নিজের ফেসবুকেও। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, এরপরেও তাঁদের মেয়েকে নানা ভাবে ফোন করে হেনস্থা করা হয়েছিল। যার পরিণতি আত্মহনন।
সুশ্রিকার এই ঘটনায় তাদের কোনও হাত নেই। ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করে এই দাবি করেছে ফটকগোড়ার এই জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। কমিটির তরফে দাবি করা হয়েছে, যে সময় সুশ্রিকা তাঁর পোষ্যদের নিয়ে প্যান্ডেলে ঢুকেছিলেন, সেই সময় যথেষ্ঠ ভিড় ছিল। কমিটির দাবি, সেই সময়কার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সুশ্রিকাকে পোষ্য নিয়ে প্যান্ডেল ছাড়ার কথা বলে হয়েছিল। সেই ঘটনায় কোনও অপমান তারা দেখছেন না।
সম্প্রতি মেয়েকে বাড়িতে রেখেই পাড়ার ঠাকুর দেখতে বেড়িয়েছিল দত্ত পরিবার। রাতে ফিরে এসে উদ্ধার করল মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। বাড়ির অভিযোগ, অপমানে এবং অবসাদে জীবন শেষ করল তাঁদের মেয়ে। চন্দননগর থানায় দায়ের করা হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ। তদন্ত করছে পুলিশ।