International Woman Equality Day 2022 : নারী- পৃথিবীর অর্ধেক আকাশ। মা, বোন, দিদি, প্রেমিকা, স্ত্রী- এমন হাজারো পরিচয়ের বাইরেও ব্যপ্ত হয়ে রয়েছে তার আসল পরিচয়- মানুষ৷ গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের সমান অধিকার এবং মর্যাদা রয়েছে একজন নারীর৷ রয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সমান হকদারি৷ রাষ্ট্র কেমন করে চলবে, কারা চালাবেন সরকার, এই সবকিছু নিয়েই একজন পুরুষের যতখানি মতদানের অধিকার রয়েছে, ঠিক ততটাই রয়েছে একজন নারীর। এই অধিকার কিন্তু সহজে অর্জিত হয়নি। এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘ লড়াই, আন্দোলনের ইতিহাস। আজ ২৬ অগাস্ট সেই সমানাধিকার উদযাপনের দিন। আজ আর্ন্তজাতিক নারী সমানাধিকার দিবস (International woman equality Day)।
আজ এই ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে হয়তো শুনতে খানিকটা অবাকই লাগতে পারে, কিন্তু বাস্তব সত্য হল, মাত্র শ'খানেক বছর আগেও বহু জায়গায় নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। তাঁরা প্রকৃত অর্থেই ছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক৷ উন্নত দেশ হিসাবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ছবিটা এই রকমই হতাশাজনক ছিল। ১৯২০ সালের আগে পর্যন্ত মেয়েরা সে দেশে ভোট দিতে পারতেন না।
Periods and Creative Ideas : পিরিয়ডস আপনাকে সৃজনশীল করে তুলতে সাহায্য করে, বলছে গবেষণা
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ থেকে ঠিক ১০২ বছর আগে ছবিটা বদলাল। ১৯২০ সালের ২৬ অগাস্ট ভোটাধিকার পেলেন মার্কিন মুলুকের মেয়েরা। স্বীকৃত হল তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার। মোড় ঘুরল ইতিহাসের৷ অনেকগুলো কদম এগিয়ে গেল নারীদের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই।
এর অনেক বছর পরে, ১৯৭১ সালে মার্কিন কংগ্রেস এই তারিখটিকে নারী সমানাধিকার দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দিল। তারপর থেকে এই তারিখটি নারীমুক্তি আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।
প্রতি বছর নারী সমানাধিকার দিবসের একটি বিশেষ থিম থাকে। এই বছরের থিম হল : নারীদের ভোটাধিকার প্রাপ্তি উদযাপন। গত বছর, ২০২১ সালে থিম ছিল : কোভিড পরবর্তী বিশ্বে নারী-পুরুষের সমতা।
লড়াইটা সারা বছরের। লড়াই নারী-পুরুষের সার্বিক সমানাধিকারের। তার মাঝেই এই বিশেষ দিনটি আরো একবার নতুন করে শপথ নেওয়ার লগ্ন।