হাওড়ায় বৃহস্পতিবার থেকে যে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা চলছে, তার প্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা নিল রাজ্য প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তরফে জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হাওড়ায় টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। প্রায় ১১ ঘণ্টা অবরোধ চলে। তীব্র দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার দুপুরেও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা এই ইশ্যুতে উত্তপ্ত (Howrah Violence) ছিল। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কোথাও কোথাও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশকে টিয়ারগ্যাসের সেল ফাটাতে হয়। শুক্রবার সন্ধের পর গ্রামীণ হাওড়ার একাধিক এলাকা ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয় (Howrah Violence)। সেখানে একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। তার আগে দুপুরে ধূলাগড়ে পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষোভের জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। বাতিল করা হয় হাওড়া-ভদ্রক বাঘাযতীন এক্সপ্রেস, হাওড়া-আদ্রা শিরোমণি এক্সপ্রেস, হাওড়া-টাটানগর স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-দিঘা স্পেশাল, শালিমার-পুরী এক্সপ্রেস ও ৩০ জোড়া লোকাল ট্রেন।
হাওড়ায় পরিস্থিতি (Howrah Violence) নিয়ন্ত্রণে আনতে তাই অবশেষে কড়া হল নবান্ন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে কিছু গোষ্ঠী গুজব ও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এলাকায়। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার থেকে আগামী সোমবার সকাল ছটা পর্যন্ত গোটা হাওড়া জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে অনলাইন ভয়েস কলের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জারি থাকবে। তবে সাধারণ ফোন কল বা এসএমএস স্বাভাবিক ভাবেই করা যাবে।