'সরকারি চাকরি পেলে ও চলেই যেত'। রেণু খাতুনের ঘটনায় এখনও এটাই বিশ্বাস করে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত শের মহম্মদ। তাকে দীর্ঘ জেরার পর এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। ইতিমধ্য়ে সরকারি সাহায্য চাকরি পেয়েছেন রেণু। দীর্ঘ চিকিৎসার পর বাড়িও ফিরেছেন। কিন্তু সাতদিন পুলিশি হেফাজতে কাটানোর পর ধৃত শের মহম্মদের মনোভাবে কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই মত তদন্তকারীদের।
প্রেম করেই রেণুকে বিয়ে করেছিল শের মহম্মদ। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স রেণু সরকারি চাকরির চিঠি পেতেই স্ত্রী ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা শের মহম্মদের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। এরপর দীর্ঘ জেরাতেও শের মহম্মদ নিজের অবস্থানেই অনড় বলে দাবি তদন্তকারীদের। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও দিক আছে কীনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন রেণু। আপাতত আছেন দিদির বাড়িতে। স্ত্রী চান স্বামী শের মহম্মদের কঠিন শাস্তি হোক। উল্টোদিকে তদন্তকারীদের মত, স্ত্রী রেণু সম্পর্কে আর কোনও আগ্রহ নেই শের মহম্মদের। এমনকী, এই ঘটনার পরেও তার জীবনে কোনও আক্ষেপ নেই বলেও দাবি তদন্তকারীদের।