কৃষ্ণনগরে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই বাংলায় জগদ্ধাত্রীর পুজোর সূচনা । আজও কৃষ্ণনগরে সেই ঐতিহ্য বজায় রয়েছে । আজ, বুধবার নবমী তিথি । সেজে উঠেছে কৃষ্ণনগর । সেজে উঠেছে চাষাপাড়ার 'বুড়িমা'। কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম বুড়িমার পুজো ৷ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় থেকে এই পুজোর সূচনা হয় । এবার ২৫০ বছরে পড়ল 'বুড়িমা'-র পুজো ।
কৃষ্ণনগরের চাষাপাড়া মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এই পুজোর সঙ্গে । আর ভক্তদের বিশ্বাস । দূরদূরান্ত থেকে মায়ের রূপ দর্শনে আসেন বহু মানুষ । নবমীর সকালে তারই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল । মন্ডপে থিকথিকে ভিড় । শুধু কালো মাথার সারি । বুড়িমার ভুবন মোহিনী রূপ দেখতে বহু দূর থেকে মানুষ ছুটে এসেছেন । সোনার অলংকারে সেজে উঠেছেন মা । মাথা থেকে পা পর্যন্ত সোনার অলংকারে মুড়ে দেওয়া হয়েছে মা-কে । ২৫০ বছর উপলক্ষে বুড়িমা-কে এবার ৮ কিলো সোনার গয়না পরানো হয়েছে । মায়ের পুজোকে কেন্দ্র করে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে ।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, বুড়িমা জাগ্রত দেবী । সকলের মনোস্কামনা পূর্ণ করেন । তাই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ মায়ের কাছে মনের কামনা জানাতে চাষাপাড়ার বুড়িমার কাছে ছুটে আসেন । এবারও তার অন্যথা হল না । বুড়ি মা-কে একটিবার দর্শন করতে ভিড় উপচে পড়ছে মন্ডপে । পুজো উদ্যোক্তারা মনে করছেন, দিন যত এগোবে, ভিড় তত বাড়বে ।