বুধবার হড়পা বানে বিধ্বস্ত হয়ে যায় সিকিম, ফুঁসতে থাকে তিস্তা। বহু মানুষের মৃত্যুর খবর আসছিল রাত থেকেই। সকাল হতেই জলপাইগুড়িবাসী দেখল জলে ভেসে আসছে দেহ, বাসন, গবাদি পশু, রান্নার গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডারও।
জলপাইগুড়ির গাজলডোবায় এক মহিলা সহ তিনজনের দেহ উদ্ধার। মৃতদের পরিচয় জানা না গেলেও দেহগুলি সিকিম থেকে ভেসে এসেছে বলেই প্রাথমিক অনুমান।
Sikkim Flood: উত্তর সিকিমে সেনা জওয়ান সহ নিখোঁজ প্রায় ১২০ জন! বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
ক্ষতি হয়েছে গাজলডোবা ব্যারেজেরও। সকালেই গজলডোবা ব্যারাজের মূল ৪৫টি গেটই খুলে দেওয়া হয়েছিল, নাহলে জলের তোড়ে গোটা ব্যারাজটাই ভেসে যেত বলে জানিয়েছেন সেচ দফতরের এক আধিকারিক। জলের তোড়ে ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি লাগোয়া তিস্তা বাঁধ ও স্পারের।
দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা বাদ দিয়ে শুধু সমতলে তিস্তার দু’পার থেকে অন্তত পাঁচ হাজার বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার মিলিয়ে খোলা হয়েছে ২৮টি ত্রাণশিবির।