জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আলোয় সেজে ওঠে কৃষ্ণনগর ও চন্দননগর। ঐতিহ্যে, আলোকসজ্জায় এবং সাবেকিয়ানার মেলবন্ধন দেখা যায় এই পুজোয়। পার্বতীর অপর রূপ দেবী জগদ্ধাত্রী। দেবীর এই রূপের আরাধনায় মেতে ওঠে সারা চন্দননগর। দিকে দিকে মণ্ডপে শোলার কাজ করা অলঙ্কার এবং পোশাকে বিরাজ করছেন দেবী জগদ্ধাত্রী। রবিবার ষষ্ঠী। ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই ঢল নেমেছে চন্দননগরে।
কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয় ১৭৬৬ সালে। কেউ কেউ আবার কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্রকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তক মনে করেন। পুরনো প্রথা মেনে পুজো হয় শুধুমাত্র নবমী তিথিতে। বর্তমানে থিম পুজোর ঢল, বড় বড় মণ্ডপ, প্রতিমাসজ্জা, আলোর রোশনাই দেখতে সারা রাজ্যের মানুষ ভিড় জমান। জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল জৌলুস নবমীতে থাকলেও বর্তমানে ষষ্ঠী থেকেই উপচে পড়ে সাধারণ মানুষের ভিড়।
করোনার কারণে গত দু'বছর নানা বিধিনিসেধ মেনে আয়োজন করা হয়েছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর। কিন্তু এই বছর করোনার প্রকোপ কমেছে। যার জেরে পুরনো ছন্দে ফিরেছে দুর্গা পুজো। একই ভাবে ছন্দে ফিরেছে জগদ্ধাত্রী পুজোও। যে কারণে মণ্ডপসজ্জা এবং আলোকশিল্পীদের কাজের মুন্সিয়ানা দেখতে ষষ্ঠীর সকাল থেকেই ভিড় করেছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি দর্শনার্থীদের জন্য রাতভর ট্রেন চালানোর ব্যবস্থাও করেছে পূর্বরেল।