পুরসভার বোর্ড গঠন করা নিয়ে ধুন্ধুমার ঝালদায় (Jhalda)। কালো ব্যাজ পরে মিছিল করে পুরসভায় হাজির হন কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রার্থীরা (Congress Councillor)। নেতৃত্বে ছিলেন নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা। সেই মিছিল ঘিরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয় কংগ্রেসের (Congress Chaos)। তারপরই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। বুধবার ১২ ঘণ্টার ঝালদা বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
পুরবোর্ড গঠনের দিন তপন কান্দু খুনের প্রতিবাদে ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোর করে পুরসভা দখলের অভিযোগ তুলে কালা দিবস পালনের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। জয়ী ৪ কংগ্রেস প্রার্থীর নেতৃত্বে শুরু হয় মিছিল। মিছিলে সবার আগে ছিলেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, তাদের নির্বাচিত প্রার্থীরা কালো ব্যাজ পরে কাউন্সিলর পদে শপথ নেবেন। মিছিল ঝালদা পুরসভার কাছে পৌঁছলে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান পূর্ণিমা কান্দু ও কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ, তাঁকে নিগ্রহ করেছে পুলিশ। পূর্ণিমা কান্দু বলেন, "বোর্ড গঠনের জন্য হত্যা করা হয়েছে। তৃণমূলরা ভাবে আমরা নিজেরা রাজত্ব করব। মার্ডার হওয়ার সময় পুলিশ ছিল না।" এদিন মিছিলে বাধা পেয়ে পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন পূর্ণিমা।
আরও পড়ুন: বিশ্বের অন্যতম সেরা রাজ্যের হাসপাতাল, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল কলকাতার এসএসকেএম
গতকাল সোমবার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্তের(CBI Investigation) নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের নির্দেশ, ৪৫ দিনের মধ্যেই তদন্ত শেষ করে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। অভিযোগকারী এবং মানুষের মনে আস্থা ফেরানোর জন্য তদন্ত করবে সিবিআই(CBI Investigation), নির্দেশ আদালতের।
গত শনিবার তপন কান্দু হত্যায়(Tapan Kandu Murder) গ্রেফতার করা হয় দাদা নরেন কান্দু এবং সুপারি কিলার আসিফ খানকে। রবিবার পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার দাবি করেছিলেন, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন। এমনকি তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার পিছনে ঝালদা থানার আইসির কোনও হাত নেই। ঘটনাচক্রে রবিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে তপন হত্যায় ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে ক্লিনচিট দিয়েছিল পুরুলিয়া পুলিশ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উচ্চ আদালত ওই মামলার তদন্তভার দিল সিবিআইকে। তপন খুনের পর গত তিন সপ্তাহে বিভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে ওই ঘটনা।