ঝালদার(Jhalda Murder Case) কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে নয়া মোড়। আবার ভাইরাল হল চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ। ‘তৃণমূলে তো তোকে আসতেই হবে।’ ফোনে তপনকে এমনটাই বলছেন কেউ। যদিও অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি Editorji বাংলা। প্রাথমিকভাবে জানা যায় ঝালদার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এক তৃণমূল(TMC) কর্মী অমল কান্দু, কাউন্সিলর তপন কান্দুকে(Tapan Kandu) ফোন করেন। ফোনেই তিনি এই হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পরে ফোন করার কথা স্বীকারও করেন অভিযুক্ত অমল।
ওই অডিয়ো ক্লিপে শোনা যায়, তপন কান্দুকে টাকা দেওয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছে। পরে অমল কান্দু শাসানি দিয়ে বলেছেন, ‘মাথা খারাপ করিস না। তোকে তো তৃণমূলে আসতেই হবে।’ নিহত কাউন্সিলরের ভাইপো মিঠুন কান্দুর অভিযোগ, বিভিন্ন পুলিশ কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় তপনকে। তৃণমূলে(TMC) যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলেই তাঁর অভিযোগ।
অডিয়ো প্রসঙ্গে তৃণমূল কর্মী(TMC worker) অমল কান্দু জানান, নির্বাচনের সময় কোনও কর্মীকে টাকা দিয়েছিলেন তপন। আর টাকা না নিয়েও, টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে অমলের বিরুদ্ধে। এটা বলতেই নাকি ফোন করেছিলেন তিনি। আর তারপরই হুমকির সুরে কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। কেন ওভাবে হুমকি দিলেন, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এর আগে ঝালদা থানার(Jhalda Police Station) আইসি-র বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে। তিনিও তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর।
গতকাল সোমবার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্তের(CBI Investigation) নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের নির্দেশ, ৪৫ দিনের মধ্যেই তদন্ত শেষ করে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। অভিযোগকারী এবং মানুষের মনে আস্থা ফেরানোর জন্য তদন্ত করবে সিবিআই(CBI Investigation), সোমবার নির্দেশ দিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ।
গত শনিবার তপন কান্দু হত্যায়(Tapan Kandu Murder) গ্রেফতার করা হয় দাদা নরেন কান্দু এবং সুপারি কিলার আসিফ খানকে। গত রবিবার পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার দাবি করেছিলেন, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন। এমনকি তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার পিছনে ঝালদা থানার আইসির কোনও হাত নেই। ঘটনাচক্রে রবিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে তপন হত্যায় ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে ক্লিনচিট দিয়েছিল পুরুলিয়া পুলিশ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উচ্চ আদালত ওই মামলার তদন্তভার দিল সিবিআইকে। তপন খুনের পর গত তিন সপ্তাহে বিভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে ওই ঘটনা।