ফের আন্দোলনে নামছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাংবাদিক বৈঠক করে আগামীদিনের কয়েকটি কর্মসূচি জানিয়েছেন আন্দোলন চিকিৎসকরা। শুক্রবার অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। তারপর সেখান থেকে মিছিল করে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত যাওয়া হবে। চিকিৎসক-নার্স-সহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠনকে ওই মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষকেও অংশগ্রহণের জন্যও অনুরোধ জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।
মিছিল ছাড়াও দ্রোহের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তবে এই ফেস্টিভ্যালের সূচি এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
RG কর কাণ্ডের পর মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে। কিন্তু আন্দোলন কিছুটা স্থিমিত হতেই তাঁদের ফের মেডিক্যাল কাউন্সিলে ফিরিয়ে আনা হয়। আর এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁরা জানতে চান, একাধিক অভিযোগ থাকা সত্বেও কীভাবে তাঁদের পদে ফেরানো হল? বিরূপাক্ষ- সন্দীপ ঘোষদের কেন রাজ্য সরকার বাঁচাতে চাইছে সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
RG কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর ওই দুই চিকিৎসকের নাম উঠে আসে। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচার চালাতেন তাঁরা। এছাড়া, মহিলা চিকিৎসককে যেদিন ধর্ষণ ও খুন করা হয় সেইদিন সেমিনার রুমের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ওই ভিডিয়োতে অভীক ও বিরূপাক্ষকে দেখা যায়। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, RG কর হাসপাতালের চিকিৎসক না হওয়া সত্বেও কেন ওইদিন সেমিনার রুমে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। ৭ সেপ্টেম্বর তাঁদের সাসপেন্ড করে মেডিকেল কাউন্সিল।
RG কর কাণ্ডের আবহে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছিল, অভীক এবং বিরূপাক্ষ কোনও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। কিন্তু ২ ডিসেম্বর সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়, আইনি ভিত্তিতে ওই দুই চিকিৎসককে বাদ দেওয়া হয়নি। এমনকি, কাউন্সিলের আইনেও বহিস্কারের কোনও নিয়ম নেই। সেই কারণে ফের তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।