চিকিৎসকরা কি আরও ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন আন্দোলনের? এমনই ইঙ্গিত ডাক্তারদের। আন্দোলনকারীদের তরফে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে রাজ্য সরকারকে তাঁদের সব দাবি মানতে হবে। না হলে মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করবেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধেতে নিজের কালীঘাটের বাড়িতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির সুরক্ষার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন তিনি। এরপর শুক্রবার সারাদিন স্বাস্থ্যকর্তা থেকে শুরু করে সচিব ও পূর্ত সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
শুক্রবার সকালেই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির সুপার ও অধ্যক্ষদের বার্তা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সূত্রের খবর, তিনি প্রত্যেককে বৈঠকে উপস্থিত থাকার বার্তা দেন। সশরীরে যাঁরা নবান্নে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তাঁদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, রাজ্যের পূর্ত দফতর দাবি করেছে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে CCTV বসানোর কাজ ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও আলো লাগানোর কাজ প্রায় ৯৪ শতাংশ শেষ। শৌচালয় এবং রেস্ট রুম তৈরির কাজও অনেক হাসপাতালে শেষ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশেও বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভাল করেছেন কিন্তু তাঁদের কাছে যাননি। এমনকি অনশনের ১২ দিন অতিক্রান্ত হলেও আলোচনা ও দাবি মানা নিয়ে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে বেশ ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার এবং অনশনকারীরা।
অন্যদিকে সিনিয়র চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুণাল ঘোষের সাক্ষাৎ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আন্দোলনে নেই। এবং তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেছেন ওই চিকিৎসক।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কুণাল ঘোষের সঙ্গে চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এবং কীভাবে এই জট ছাড়ানো যায় সেই নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। যদিও ওই বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে সেই নিয়ে এখনও পরিষ্কার নয়।