বীরভূম মানেই অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুক। কিন্তু জেলার বদলে তিহার জেলে বর্তমানে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। সেকারণে পঞ্চায়েতে ভোটে সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে ফের সেখানেই ঘাসফুল ফোটালেন একদা অনুব্রত বিরোধী বলে পরিচিত কাজল শেখ। তবে ইতিমধ্যে তিহার জেলে বসেই নির্বাচনের ফল সংক্রান্ত সব খবর পেয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর তাতে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত তিনি। এদিকে কাজল শেখের মন্তব্য, বীরভূমে জয়ের অংশীদার অনুব্রত মণ্ডলও।
বীরভূমের জেলা পরিষদের মোট ৫২টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে, ৫১টি আসনই ঘাসফুল শিবিরের দখলে। নির্বাচনের জন্য বীরভূমে বিশেষ কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির গুরুদায়িত্ব ছিল কাজল শেখের উপর। একটি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাজল শেখ জানিয়েছে, বীরভূমে তৃণমূলের জয়ের অংশীদার অনুব্রত মণ্ডল। কারণ তাঁর দেখানো পথেই জেলায় জয় এসেছে বলে দাবি।
গত বছর গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তারপর থেকেই জেলা নিয়ে বেশ কিছুটা চিন্তায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলায় গিয়ে সেখানকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে বীরভূমের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর সেখানেই কাজল শেখকে নির্বাচনের জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেন তৃণমূল নেত্রী।