কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র-র । আগেই তা ইডির তদন্তে উঠে এসেছে । তবে সুজয় একা নয়, কুন্তল টাকা দিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও । আদালতে এমনই দাবি ইডির । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কুন্তল ৭০ লাখ দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে । আর কালীঘাটের কাকু-র কথাতেই ১০ লাখ টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ । যদিও এই লেনদেনের কথা অস্বীকার করেন 'কালীঘাটের কাকু' ।
২০১৪ সালের কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে বেআইনি ভাবে টেট পাশ করিয়ে নিয়োগ করাতে গিয়েই সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কুন্তল । তখনই বিপুল পরিমাণ এই অর্থের লেনদেন হয় । পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেই যে কাজ হয়ে যাবে, সেই বিষয়েও কুন্তলকে জানান । এরপরই নিজে ৭০ লাখ নিয়ে পরে পার্থকে আরও ১০ লাখ দেওয়া কথা বলেন 'কালীঘাটের কাকু' ।
ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনু-কুন্তল বা অয়ন চাকরির টোপ দিয়ে টাকা তোলার চক্র চালাতেন। সেই চক্রে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন কালীঘাটের কাকু। ইডি সূত্রে আরও দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অঙ্গুলিহেলনেই সরাসরি ঘনিষ্ঠদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন কুন্তলরা। এক সময় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলই প্রথম কালীঘাটের কাকুর নাম প্রকাশ্যে আনেন। ইডি সূত্রে খবর, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে মোবাইলের সব নথি লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন সুজয়। সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের সব নথি নষ্ট করার কাজ শুরু করেন তিনি।