নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যের ফোন ঘেঁটেই 'কালীঘাটের কাকু'-কে পেয়েছিল ইডি । সেই থেকেই ইডির নজরে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর এমনই । মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত বছর অক্টোবর মাসে । সেইসময় মানিকের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তাঁর ফোনের হোয়াটঅ্যাপে 'কালীঘাটের কাকু' -র সন্ধান পান ইডি আধিকারিককরা । তারপর থেকেই সুজয়ের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিল ইডি । উল্লেখ্য, বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালত সুজয়কৃষ্ণকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ।
সুজয় ইডিকে জানিয়েছেন, মানিকের সঙ্গে ২০২১ সাল থেকে তাঁর যোগাযোগ । কিন্তু, ইডি তদন্ত বলছে, ২০১৮ সাল থেকে তাঁদের একে অপরকে চিনতেন । মানিকের মোবাইলের হোয়াটস্অ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে এমন দাবি করেছে ইডি । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৮ সাল থেকেই মানিককে বহু টেট প্রার্থীর নথি সুজয় পাঠিয়েছিলেন । মার্কশিট এবং অ্যাডমিট কার্ডও পাঠানো হয় । বুধবার ইডি আদালতে আরও দাবি করেছে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১০ লক্ষ টাকা দিতে বলেছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ।কুন্তল বয়ানে জানিয়েছেন, তিনি সুজয়কে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর কথাতেই আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন পার্থকেও ।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, খাবার মুখে তুলছেন না সুজয়। সূত্রের খবর, অনশন শুরু করেছেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তিনি নিজে বুধবার আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছেন, "আমি হাঙ্গার স্ট্রাইক (অনশন) করব।" তবে ইডি আইনজীবীর দাবি, ইডির প্রশ্ন এড়ানোর জন্যই না খাওয়ার কৌশল নিচ্ছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । এতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তিনি ।