বগটুইয়ের পর এবার পুরুলিয়ার ঝালদা(Jhalda Murder Case)। সোমবার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনেও সিবিআই তদন্তের(CBI Investigation) নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের নির্দেশ, ৪৫ দিনের মধ্যেই তদন্ত শেষ করে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। অভিযোগকারী এবং মানুষের মনে আস্থা ফেরানোর জন্য তদন্ত করবে সিবিআই(CBI Investigation), সোমবার নির্দেশ দিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ।
গত সপ্তাহেই তপন কান্দু খুনে(Tapan Kandu Murder) সিবিআই দাবি করে হাইকোর্টে যান নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ আদালতের।
আরও পড়ুন- High Court: বগটুই কাণ্ডে তদন্ত কোন পথে এগোচ্ছে, সিবিআইকে প্রতিক্রিয়া জানানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রথম থেকেই কাউন্সিলরের স্ত্রী ও কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, ঝালদা থানার(Jhalda Police Station) আইসির বিরুদ্ধে। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশে সেই অভিযোগও মান্যতা পেল। খুনের তদন্তে পুলিশি চেষ্টায় অনেক খামতি রয়েছে বলে মনে করে আদালত। এর আগে এই খুনের ঘটনার তদন্ত করে সিট(SIT)। তবে তদন্ত শেষের আগেই পুলিশ সুপার আইসিকে(IC of Jhalda PS) ক্লিনচিট দেওয়ায় বিতর্ক দেখা দেয়।
গত শনিবার তপন কান্দু হত্যায়(Tapan Kandu Murder) গ্রেফতার করা হয় দাদা নরেন কান্দু এবং সুপারি কিলার আসিফ খানকে। গত রবিবার পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার দাবি করেছিলেন, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন। এমনকি তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার পিছনে ঝালদা থানার আইসির কোনও হাত নেই। ঘটনাচক্রে রবিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে তপন হত্যায় ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে ক্লিনচিট দিয়েছিল পুরুলিয়া পুলিশ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উচ্চ আদালত ওই মামলার তদন্তভার দিল সিবিআইকে। তপন খুনের পর গত তিন সপ্তাহে বিভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে ওই ঘটনা।
এর মধ্যেই এস সেলভামুরুগনের এই দাবি উড়িয়ে দেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। পাল্টা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। এমনকি ঝালদা থানার তৎকালীন আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধেও নিজের অবস্থানেও অনড় থাকেন পূর্ণিমা।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার ঝালদায় কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত শনিবার এই ঘটনার তদন্তে রাজ্য সরকারের তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল দাবি করেছিল, ২০ দিনের মধ্যেই তাঁরা ঝালদার ঘটনার রহস্যভেদ করেছেন। বিশেষ করে ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার কলেবর সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তপনের দাদা নরেনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি ছিল, তপনকে খুন করতে ৫ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল।