হকের চাকরির দাবিতে পথে নেমে জুটল পুলিশের লাঠি। সেখানেই এক চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মহিলা পুলিশের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত অরুণিমা পাল সহ প্রায় ৩০ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক ৩০ জনের মধ্যে কিছুজনকে শিয়ালদহ ষ্টেশনে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেই খবর। বাকিদের গ্রেফতার করে লালবাজার। চাকরিপ্রার্থীদের আরও অভিযোগ, রাতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় ওই মহিলা চাকরিপ্রার্থী অসুস্থবোধ করলে তাঁকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতেও নাকি রাজি ছিল না পুলিশ। পরে অবস্থার অবনতি হলে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আক্রান্তের। আটক এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ আরও গুরুতর। তিনি জানান, অরুণিমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুলিশের তরফে বলা হয়, আক্রান্তের মৃত্যু হলে তার দায় নেবেন তাঁরা। যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে, অরুণিমার গ্রেফতারিতে চরম উৎকন্ঠায় তাঁর পরিবার। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়েও যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় স্বামী-সন্তান সহ পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি, রাতে ফের বিক্ষোভ শুরু হয় কলকাতায়। হকের চাকরির দাবিতে মিছিল করেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। অরুণিমা পাল সহ বাকিদের মুক্তির দাবিতে লালবাজারের বাইরে প্রতিবাদে সামিল হন চাকরিপ্রার্থীরা।
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা আগেও আন্দোলন করেছেন সল্টলেকে । কিন্তু, তাঁদের সেখান থেকে তুলে দেয় পুলিশ । তবে, বুধবারের আন্দোলনে অন্য কৌশল নেয় তাঁরা । কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আন্দোলনে বাধা দেয় পুলিশ । চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, যারা দুর্নীতিগ্রস্থ, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু, যাঁরা সমাজ গড়বে, সেইসব শিক্ষকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে ।
ওঁরা প্রত্যেকেই শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন, চেয়েছিলেন চক-ডাস্টার হাতে স্কুলে যেতে। কিন্তু তার বদলে চাকরির দাবিতে রাস্তা আর পুলিশি লক আপই এখন একমাত্র ভবিতব্য অরুণিমা পালদের। বুধবার চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে এক্সাইড-ধর্মতলা চত্বর। শুরু হয় পুলিশি ধরপাকড়। রাস্তা থেকে টেনেহিঁচড়ে তাঁদের তোলা হয় পুলিশের ভ্যানে। সেখানেই ওই চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক মহিলা পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে।