কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা। তাঁকেই খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এবং কলকাতা পুলিশের ওই কর্মীই খুনের চক্রান্ত করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির সদস্য এবং কলকাতা পুলিশের ওই কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। এদিকে শ্বশুরবাড়িতেও অত্যাচারের শিকার হতে হয় তাঁকে। সেই কারণে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে ওই কলকাতা পুলিশের কর্মীর বাড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই মহিলা। অভিযুক্ত যুবক কলকাতা পুলিশের গাড়ির চালক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে কলকাতা পুলিশের কর্মীর সঙ্গে আত্মীয়তা ছিল। ৫ সেপ্টেম্বর রাতে ওই মহিলা যখন ঘুমোচ্ছিলেন তখন তাঁর ঘরে ঢোকে কলকাতা অভিযুক্ত যুবক এবং ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত।
অন্যদিকে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে ফের শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেন নির্যাতিতা মহিলা। পুরো বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের তরফে। কিন্তু নির্যাতিতা রাজি হননি।
শুক্রবার হঠাৎ করে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না নির্যাতিতা মহিলার। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজ করার পর বাড়ির দোতলায় ঝুলন্ত অবস্থায় নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতার ভাইয়ের অভিযোগ, পুরো বিষয়টি আলোচনার মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর দিদি সেই রাস্তায় না গিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আর সেই কারণে এমন পরিণতি। অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশকর্মীর মদতে শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
ইতিমধ্যে অভিযুক্ত যুবক এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও ওই পঞ্চায়েত সদস্যা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁর স্বামী এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। অন্য যুবক ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে দাবি তাঁর।