কলকাতায় এসে ১৯ দিন গা ঢাকা দিয়ে ছিল বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে অভিযুক্ত আবদুল মতিন তহ্বা এবং মুসাভির হুসেন সাজিদ। ধর্মতলায় হোটেল নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ডেভিড হেডলির শাগরেদ রাজারাম রেগে। কিন্তু কিছুই জানতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৎপরতা বৃদ্ধি করছে লালবাজার। সব হোটেল এবং অতিথিশালায় নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
বিদেশি নাগরিকেরা কলকাতায় এসে কোনও হেটেলে উঠলে তাঁদের ‘সি ফর্ম’ পূরণ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় আসলে এমন কোনও ফর্ম পূরণ করতে হয় না। কেবল পরিচয়পত্র দেখালেই চলে।
এই ব্যবস্থায় বদল আনতে চাইছে লালবাজার। একটি পোর্টাল খোলার কথা ভাবা হচ্ছে, যেখানে অন্য রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের নথি ও ফোন নম্বর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আপলোড করতে হবে হোটেল কর্তৃপক্ষকে। নিউ মার্কেট এলাকার পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে বাইপাস সংলগ্ন হোটেলগুলিতেও। এই দুই অঞ্চলে বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের বড় অংশ থাকেন। যতদিন পর্যন্ত না পোর্টাল তৈরি হচ্ছে, ততদিন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নজরদারি করতে বলা হয়েছে।