নিয়ম রীতি মেনে বেলুড় মঠে সম্পন্ন হল অষ্টমীর কুমারী পুজো। এবার কুমারী হিসেবে পুজো করা হল বেলুড়ের বাসিন্দা শানভি মুখোপাধ্যায়কে। তার বয়স পাঁচ বছর। দূর্গা পুজোর বেদিতে সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই পুজো সম্পন্ন করেন মঠের মহারাজরা।
স্বামী বিবেকানন্দ মঠে দুর্গাপুজো শুরু করেন। তিনিই কুমারী পুজো শুরু করেন। ১৯০১ সালে মা সারদার উপস্থিতিতে ৯জন কুমারীকে পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেই রীতি মেনে এখনও কুমারী পুজো হয়ে আসছে।
১১ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫টায় বেলুড় মঠে অষ্টমীর পুজো শুরু হয়েছিল। তারপর ৯টা নাগাদ কুমারী পুজো সম্পন্ন হয় । এবং সাড়ে ১০টা নাগাদ সন্ধি পুজো হয় বেলুড় মঠে। এরপর বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী শনিবার নবমীর পুজো হবে সেখানে
অষ্টমীর পুজো এবং কুমারী পুজো দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন বেলুড় মঠে। মূল মন্দিরের পাশেই অস্থায়ী প্যান্ডেল ও বেদী তৈরি করে দুর্গামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। বছরের অন্য সময়ের মতোই পুজোর চারদিন দর্শনার্থীদের জন্য প্রসাদের আয়োজন করা হয়েছে।
শুধু বেলুড় মঠ নয়, বর্ধমান রামকৃষ্ণ মিশন, আটপুর রামকৃষ্ণ মিশন, জলপাইগুড়ি, কামারপুকুর, জয়রামবাটিতেও মহা সমারোহে চলছে অষ্টমীর পুজো। সেখানেও কুমারীপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। অন্যদিকে বাংলাদেশের ঢাকা ও দিনাজপুর রামকৃষ্ণ মিশনেও কুমারী পুজো হয়েছে।
অন্যদিকে নবমীর পুজো করলেও বেলুড় মঠে কোনও বলি হয় না। পরিবর্তে চালকুমড়ো এবং আখ বলি দেওয়ার রীতি আছে সব রামকৃষ্ণ মিশনে।