সিবিআই-এর দাবি, আত্মহত্যা। মৃত লালন শেখের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে কী ভাবে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের মৃত্যু হল, সোমবার সন্ধে থেকেই বারবার উঠে আসছে এই প্রশ্ন।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে যথেষ্ট নিরাপত্তা থাকার কথা। লালনের নিরপত্তার দায়িত্বে ছিল সিআরপিএফ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দু’জন সিবিআই আধিকারিক এবং এক জন কেন্দ্রীয় জওয়ান। মঙ্গলবারই লালনকে আদালতে উপস্থিত করানো সংক্রান্ত কাজেই সোমবার দুপুরে আদালতে গিয়েছিলেন দুই সিবিআই আধিকারিক। সেই সময় লালনের পাহারায় ছিলেন মাত্র এক জন কেন্দ্রীয় জওয়ান বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের নিরাপত্তায় এত ফাঁক কেন ছিল, এখন উঠে আসছে সেই প্রশ্নই।
Bogtui Police Vs CBI : সিবিআই হেফাজতে লালনের দেহ উদ্ধার, অস্বাভাবিক মৃত্য়ুর তদন্তে বীরভূম পুলিশ
সোমবার সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয়ে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ শিবিরের শৌচালয়ে গিয়ে গলায় গামছা জড়িয়ে আত্মঘাতী হন লালন।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বগটুই কাণ্ডের ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। লালনের বিরুদ্ধে বগটুইয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ছিল। চলতি মাসেই ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে গ্রেফতার করা হয় লালনকে।