রবিবার রাতে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে ধস নামল দার্জিলিং জেলার সেবকের বাকপুল ও কালিঝোড়ার মাঝের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। বিচ্ছিন্ন শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যান চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ধসের কারণে, দু পাশেই আটকে রয়েছে বহু গাড়ি। প্রশাসনের তরফ থেকে ধস সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি লাগাতার বৃষ্টিতে কার্যত নাজেহাল উত্তরবঙ্গবাসী। ফুঁসছে পাহাড়ের একাধিক নদী। ইতিমধ্যেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বালাসন ব্রিজ।
জানা গিয়েছে, মাটিগাড়ায় প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হিউম পাইপের ব্রিজ। ভেসে গিয়েছে পিচের চাঙরও। পাশাপাশি, তিস্তা ব্যারেজ থেকে সোমবার সকালে ২৩৮৩.৪৬ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। ডুডুয়া ও গিলান্ডি নদী উপচে জল ঢুকছে গ্রামে। তোর্সার ব্যাপক ভাঙনে রীতিমতো বিপন্ন প্রায় ১৫টি পরিবার। ইতিমধ্যেই তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন কাছের ত্রাণ শিবিরে।
তবে এখনও আশার আলো দেখাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। আগামী ৪-৫ দিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে এখন থেকেই প্রমাদ গুনছেন উত্তরবঙ্গবাসী।