তিস্তার বিধ্বংসী রূপ, প্রবল ভূমিধ্বস, প্রবল বর্ষণে রাস্তা এবং সেতু ভাঙার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বৈঠক করে ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত উত্তর সিকিমে বুকিং নেওয়া হবে না। যাঁরা আগ্রহী তাঁদের অপেক্ষা করতে বলা হবে।
চুংথাং, ফোদং গুম্ফা ও সেভেন সিস্টার্স ফলস, লাচুং, ‘ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার’ ইউমথাং, লাচেন, গুরুদোংমা লেক সহ উত্তর সিকিমেরর মনোমুগ্ধকর জায়গাগুলিতে যাওয়ার জন্য আগ্রহী পর্যটকের সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু জুন মাসে উত্তর সিকিমে ভূমিধসে ৬ জনের মৃত্যু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, মঙ্গন জেলার লাচুংয়ে ১৫ জন বিদেশি-সহ প্রায় দেড় হাজার পর্যটকের আটকে পড়ার ঘটনায় সতর্ক ট্যুর অপারেটররা। তাঁরা আপাতত
সেখানকার নির্মাণকাজে সুবিধাজনক পরিবেশ রাখতে চাইছেন।
বর্ষার শুরু থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এখন মঙ্গন থেকে গ্যাংটক হয়ে ফোডং রোডে শুধুমাত্র হালকা যানবাহন চলছে। মঙ্গন-চুংথাং হয়ে টুং নাগা রুট, সংকলং রোড হয়ে মঙ্গন থেকে চুংথাং রোড অবরুদ্ধ। সংকলং সেতু ভেঙে পড়েছে। লাচেন থেকে চুংথাংয়ের মধ্যে ধ্বস। তার ফলে মুন্সিথাংয়ের রাস্তা বন্ধ। শনিবার লাচেন-থাঙ্গু সংযোগকারী নির্মীয়মাণ সড়ক তিস্তা ভাসিয়ে নিয়েছে। তার উপর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে৷ সবমিলিয়ে অবস্থা শোচনীয়। 'হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর উত্তর সিকিমে বুকিং নিচ্ছেন না।