লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের জয়জয়কারের নেপথ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। বিরোধী নেতা-নেত্রীরা ইতিমধ্যেই একাধিকবার এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রকাশ্যে। এই 'যুক্তি' মেনে নিচ্ছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ও। তবে, তাঁর 'উপলব্ধি' একটু আলাদা। তিনি বলেন, "বাংলার মহিলারাই তৃণমূলকে জিতিয়ে এনেছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডারের সৌজন্যে গ্রামের মহিলারা ঢেলে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। তবে, শহরের অবস্থাপন্ন মহিলারা, যাঁরা বড় ফ্ল্যাটে থাকেন, তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেননি। আবার সংখ্যালঘুরা একশো শতাংশ ভোট দিয়েছেন আমাদের"।
বরানগরের এক অনুষ্ঠানে ওই কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটিতে তৃণমূল সাংসদকে ভোটে জেতার জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ সেই মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, আমি আর নির্বাচনে দাঁড়াব না৷ পাঁচ বছর আছি, আপনাদের সঙ্গে থাকব৷
তৃণমূলের প্রবীণতম সাংসদ তিনি। ১৯৭৭ সালে ব্যারাকপুর থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন সৌগত রায়৷ চরণ সিং মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি৷ ২০০৯ সালে দমদমের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর মনমোহন সিং মন্ত্রিসভায় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন তৃণমূল সাংসদ৷ এর পাশাপাশি আলিপুর, ঢাকুরিয়া, বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়কও নির্বাচিত হয়েছেন সৌগত৷